অবশেষে ডিগ্রি স্তরের তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির নির্দেশ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)

অবশেষে বেসরকারি কলেজের ডিগ্রি স্তরের তৃতীয় শিক্ষকেরা এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ পেলেন। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বুধবার (১৩ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সারা দেশের বেসরকারি কলেজের ডিগ্রিস্তরের তৃতীয় শিক্ষকদের দফায় দফায় আদেশ জারি করে এমপিওভুক্ত করা হলেও বেশ কিছু শিক্ষক বাকি থেকে যান। এই শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেন-দরবার চালায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শেষ পর্যন্ত তারা এমপিওভুক্তির সুযোগ পাচ্ছেন।  মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট অর্থ বিভাগের সম্মতিতে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি স্তরে গভর্নিং বডির নিয়োগ দেওয়া তৃতীয় শিক্ষকদের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এমপিওভুক্ত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এমপিওভুক্তির শর্ত:

(১) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ডিগ্রি স্তর এমপিওভুক্ত থাকতে হবে;

) নীতিমালা অনুযায়ী তৃতীয় শিক্ষকের নিয়োগকালীন কাম্য যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং বিধি মোতাবেক নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে কর্মরত থাকতে হবে;

(৩) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ২০২৩ সালের ৬ এপ্রিল জারি করা পরিপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যানবেইসে অনলাইনে সংগৃহীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ডাটাবেইসে সংরক্ষিত তথ্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে তুলনামূলক যাচাই-বাছাই করতে হবে। ডাটাবেইসে তথ্য যথাযথ না থাকলে কোনও তৃতীয় শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা যাবে না;

(৪) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবরের পত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে হবে; করা হয়নি এরূপ প্রতিষ্ঠানে নতুনভাবে কোনও তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে না;

(৫) তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ (চ) নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক কাম্য শিক্ষার্থী (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি তথ্য অনুযায়ী) থাকতে হবে। তবে বর্তমানে কাম্য শিক্ষার্থী না থাকায় কোনও শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে না পারলে পরবর্তীতে কাম্য শিক্ষার্থী পূরণ হলে মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে এমপিওভুক্ত হতে পারবে;

(৬) নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির পর, ওই এমপিওপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম, পদবী, বিষয়, প্রতিষ্ঠানের নাম ও শিক্ষার্থীর সংখ্যাসহ প্রতিবেদন আগামী ৬ মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে;

(৭) প্রতিষ্ঠানে কাম্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা (বিষয়ভিত্তিক) যথাযথ থাকতে হবে। তা না হলে ব্যক্তি এমপিও পাবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *