চট্টগ্রাম, সোমবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৪
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চট্টগ্রামে এক সরকারি কর্মকর্তাকে সোয়া তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত মীর হোসেন সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের সাবেক উপ-পরিচালক।
Advertisement
রোববার (২১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মীর হোসেন নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার সিংহ বাহুড়া গ্রামের মৃত মৌলভী আবদুল খালেকের ছেলে।
আদালতে দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০০৯ সালে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের হওয়া দুদকের এক মামলায় ওই সময়ে চট্টগ্রাম সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের উপ-পরিচালক মীর হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাকে দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় তিন বছর কারাদণ্ড এবং ৩০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।’
একই আইনের ২৬(২) ধারায় তাকে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বিচাক কাজে অভিযোগপত্রে ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামি মীর হোসেন আদালতে হাজির ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান এই পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০০৮ সালে দুদকে জমা হওয়া এক অভিযোগ অনুসন্ধান করে সরকারি আবাসন পরিদপ্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মীর হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পায় দুদক। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৮ সালের ২৩ জুন দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন তিনি। পরবর্তী সময়ে দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণী যাচাই করে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর ওই সময়ের সহকারী পরিচালক আলী আকবর বাদী হয়ে নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। পরে ২০১০ সালের ১ এপ্রিল একমাত্র আসামি মীর হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় বাদীসহ ২৩ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে রোববার রায় ঘোষণা করা হয়।