চুরি করতে ঢুকে চোখে-মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

পাইকগাছা থানা

খুলনায় বাড়িতে চুরি করতে এসে হাত-পা বেঁধে চোখে-মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে এক নারীকে (৪৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পাইকগাছা উপজেলার একটি বাড়ি থেকে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভুক্তভোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে রবিবার রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী কাঁচামালের ব্যবসা করেন। রবিবার রাতে তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। পড়ালেখার জন্য ছেলেমেয়ে বাইরে থাকে। রবিবার রাতে ঘরের পাশের গাছ বেয়ে ছাদে উঠে ওই বাড়িতে ঢোকে চোরেরা। পরে গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে চোখ-মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে ধর্ষণ করে। সোমবার সকালে ওই নারীর গোঙানির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় তার চোখ-মুখে সুপার গ্লু লাগানো ছিল। হাত-পা বাঁধা ছিল। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ওই নারীর ছেলে বলেন, বাড়ি থেকে এক জোড়া সোনার দুল এবং আনুমানিক দুই লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে চোরেরা। ঘরের পাশের গাছ বেয়ে ছাদে উঠে ঘরে ঢুকে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। চিকিৎসার জন্য মাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গৃহবধূর স্বামী জানান, একতলা ছাদের ওপরের সিঁড়ির পাশের ঘরটি খোলা ছিল। তার স্ত্রীকে বেঁধে চোখ-মুখে সুপার গ্লু দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে কয়জন চোর ছিল এখনও জানাতে পারেনি তার স্ত্রী।

খুমেক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুমন রায় বলেন, ‌‘ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। এই মুহূর্তে তার মুখ ও চোখ রক্ষার জন্য অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’

পাইকগাছা থানার ওসি ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘ওই নারীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *