ধান-চালের মজুতদারি: ১৬ মিল মালিককে জরিমানা, ৩ গোডাউন সিলগালা

নওগাঁ প্রতিনিধি

ধান-চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মজুতবিরোধী অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা

নওগাঁয় অবৈধভাবে ধান-চাল মজুত করার অপরাধে জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতিসহ ১৬ জন মিল মালিককে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৩টি গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) জেলার সদর, মহাদেবপুর, মান্দা ও পত্নীতলা উপজেলায় দিনব্যাপী মজুতবিরোধী পৃথক অভিযান চালিয়ে এ দণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলে এসব তথ্য জানানো হয়।মিডিয়া সেলে বলা হয়, ধান-চালের অবৈধ মজুত খুঁজতে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত জেলার সদর, মহাদেবপুর, মান্দা ও পত্নীতলায় উপজেলায় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মজুতবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন।

অভিযানে নির্ধারিত সীমার চেয়ে অতিরিক্ত ধান-চাল মজুত রাখায় শহরের আনন্দনগর মহল্লার আর এম রাইস মিলের মালিক রফিকুল ইসলাম রফিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ৩টি গোডাউন সিলগালা করা হয়। তছিরন অটোমেটিক রাইস মিলের মালিককে ১ লাখ টাকা, মেসার্স এম,এম অটো রাইস মিল মালিককে ৫০ হাজার টাকা, মফিজ উদ্দিন অটোমেটিক রাইচ মিলের মালিককে ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স জায়েদা ট্রেডার্স মালিককে ১ লাখ টাকা, মেসার্স সুফিয়া অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মহাদেবপুর উপজেলার নাহার আরমান অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ৩০ হাজার টাকা, শাপলা অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ২০ হাজার টাকা, দাদা অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও জাহিদ অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ও মক্কা মদিনা অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে জরিমানা করা হয়।

মান্দা উপজেলার সাবাইহাট এলাকায় অবৈধ ধান মজুতের দায়ে এবং লাইসেন্স না থাকার জন্য ফয়জুল ইসলাম নামে একজন ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা ও সুমন কুমার নামে আরও এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পত্নীতলা উপজেলায় লাইসেন্স ছাড়া ধান মজুতের দায়ে আরও ৩ ধান ব্যবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা  করা হয়েছে।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা জানান, অবৈধভাবে মজুত করা এসব ধান-চাল সঠিকভাবে খোলাবাজারে বিক্রি নিশ্চিত করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি), কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং একজন পুলিশের উপপরিদর্শকের (এসআই) সমন্বয়ে টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি তদারকি করবেন। ধান-চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মজুতবিরোধী এই অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *