বগুড়ায় দুদকের মামলায় শ্রমিক নেতা হেলালের ৪টি বাড়ি জব্দ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সামছুদ্দিন শেখ হেলাল

বগুড়া: বগুড়া জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন শেখ হেলাল ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা চারটি বাড়ি জব্দ করা হয়েছে।  

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় আদালতের নির্দেশে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাড়িগুলো গণপূর্ত অধিদপ্তরের জিম্মায় নেওয়া হয়।

হেলাল শ্রমিক লীগ ছাড়াও একাধারে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া পৌরসভার ১ নম্বর প্যানেল মেয়র ছিলেন।

বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ শহরের চকসূত্রাপুর এলাকায় হেলাল ও তার পরিবারের মালিকানায় থাকা চারটি বহুতল বাড়ি জব্দ করেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী এ এইচ এম শাহরিয়ার।ওই চারটি ভবনের দেয়ালে জব্দ করার নোটিশ সাঁটানো হয়েছে। এসময় সেখানে দুদক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিল।গণপূর্ত অধিদপ্তরের বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী এ এইচ এম শাহরিয়ার জানান, আদালতের নির্দেশে সামছুদ্দিন শেখ হেলাল ও তার পরিবারের নামে থাকা চারটি বাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এখন থেকে গণপূর্ত বিভাগ ওই বাড়িগুলোর ভাড়া আদায় করে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করবে।

এর আগে গত বছরের ১২ নভেম্বর হেলাল ও তাঁর পরিবারের মালিকানায় থাকা ৪টি বাড়ি ও ৯টি গাড়ি জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন বগুড়ার বিশেষ জজ আদালত। গাড়িগুলো বিআরটিসির কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়। দু’দিন আগে হেলাল নিজেই তার তিনটি গাড়ি বিআরটিসির কাছে হস্তান্তর করেন। তার নামে আরও ছয়টি গাড়ি আছে, যা তিনি এখনো হস্তান্তর করেননি।

গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৬ কোটি টাকার বেশি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে হেলাল ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন। হেলাল ছাড়াও তার প্রথম স্ত্রী হেলেনা পারভীন ও ছেলে হোসাইন হাবীবের নামে একটি করে মামলা করা হয়।

দুদকের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান, আদালতের নির্দেশ মেনে হেলালের চারটি বাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ৯টি গাড়ির মধ্যে তিনি নিজেই তিনটি গাড়ি বিআরটিসির কাছে হস্তান্তর করেছেন। তার অন্য যে ৬টি গাড়ি ছিল সেসব তিনি আদালতের নির্দেশের আগেই অন্য মালিকানার কাছে হস্তান্তর করেছেন।

দুদক সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদক থেকে হেলাল ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণীর হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়। ওই নোটিশ পেয়ে তারা ২০২১ সালের ২৫ মে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এরপর তদন্তে দুদকে দাখিল করা বিবরণীর সঙ্গে সম্পদের গরমিল পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *