কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কথা বলছেন ড. হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহামুদ বলেছেন, ‘সারা বিশ্বে ৩৫ কোটির বেশি বাংলা ভাষাভাষী আছে। সুতরাং পৃথিবীর অন্যতম প্রচলিত ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার অবস্থান। যে কারণে আমরা বাংলা এবার জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইবো।’
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানে শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি জাতির জন্য বিশাল অর্জন। আজ আমাদের স্বপ্ন হলো বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষায় রূপান্তর করা।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান জেলখানায় বসে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালিত হবে। এর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তড়িৎ সিদ্ধান্তে জাতিসংঘে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের ৬টি দাফতরিক ভাষা রয়েছে- আরবি, চীনা, ইংরেজি, ফরাসি, রাশিয়ান ও স্প্যানিশ। এর আগে কয়েকবার বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে আর্থিক কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন যে, দাফতরিক ভাষা হিসেবে বাংলা চালু করার প্রস্তাবে কোনও সদস্য রাষ্ট্রের বিরোধিতা না থাকলেও অর্থের জন্য জাতিসংঘের পক্ষে এটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।তিনি বলেছিলেন, ‘জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ বলেছে যে, জাতিসংঘে একটি নতুন দাফতরিক ভাষা চালু করার জন্য তাদের প্রতিবছর ৬০০ মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে।’