প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৪,
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সংগৃহীত ছবি
সরকার কোটা বাতিল করেনি, আদালতের রায়ে এটি বাতিল হয়েছে। এখানে সরকারের কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
%
এ সময় মন্ত্রী দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের চলমান এই আন্দোলনের মধ্যে বিএনপি ঢুকে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে।
শনিবার (৬ জুলাই) রাতে চট্টগ্রামের প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে বিএফইউজের আয়োজনে প্রীতি সাংবাদিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ভারত, চীন সবার সাথেই বাংলাদেশ সুসম্পর্ক রেখে চলবে, সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে আসার পর বিএনপি বলতে শুরু করেছে আমরা নাকি দেশটা ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। এখন চীন থেকে আসার পর তারা বলে কিনা, চীনের কাছেও দেশটা বিক্রি করে দিয়েছি। যেখানেই যাই তারা বলছে দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছি।
https://googleads.g.double
কিন্তু এসব দেখে বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে। যে কোনো দেশেই প্রধানমন্ত্রী সফর করলে তারা মনে করে দেশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। একটা দেশকে কয়বার বিক্রি করা যায় বিএনপির কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন রাখেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয় এবং আমরা অত্যন্ত সফলভাবে সেটি করে চলেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়েছিলেন সেখান থেকে এসে কিছুদিনের বিরতিতে তিনি এখন চীন সফরে যাচ্ছেন। আমাদের ভারতের সাথে যেমন অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক, চীনের সাথেও আমাদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। আমাদের সাথে রাশিয়ার যেমন অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক একই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক।
তিনি বলেন, যারা আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রেখেছেন তাদের সাথে যেমন ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছি, যারা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আমাদের পাশে ছিল না, তারাও আমাদেরকে সহায়তা করছে আমাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখছে, আমাদের উন্নয়নে অবদান রাখছে, এটি আমাদের পররাষ্ট্রনীতিরই সফলতা। এই বিষয়টি বিএনপিসহ অনেকেই বুঝেও না বুঝার ভান করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, খেপাটে মেজাজের রিজভী সাহেব কী বলল, ঢুলে ঢুলে মেজাজে গয়েশ্বর বাবু কী বলল, শিক্ষিত হয়েও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব অশিক্ষিতের মতো কথা বললেও তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা আমাদের রাষ্ট্রের মর্যাদা রক্ষা করে, সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্বে থাকার কারণে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের আত্ত্বিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের তৃতীয় নয়ন উন্মোচিত করে। দায়িত্বশীলরা যেখানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে না, তাদের দৃষ্টি সেখানে আবদ্ধ করে। সমাজের দর্পণ হিসেবে গণমাধ্যমকে পরিচালনা করে সাংবাদিকরা। সুতরাং তারা যদি সঠিকভাবে চলতে না পারে তাহলে গণমাধ্যমও সঠিকভাবে চলতে পারে না।
তিনি বলেন, এই যে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি, প্রতিটি মানুষের জীবন মানের উন্নতি, সেটি সংবাদ মাধ্যমে প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন। সমাজের অসঙ্গতি কিংবা দায়িত্বশীলদের ব্যর্থতা যতটুকু প্রতিফলিত হয়, সমাজের উন্নতি, রাষ্ট্রের উন্নতি কিংবা দায়িত্বশীলদের সফলতা সেটি অনেক সময় ততটুকু প্রতিফলিত হয় না, সেটি হওয়া প্রয়োজন রয়েছে।