নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশের মতো: সিইসি

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল (ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচনে ‘৪০ শতাংশের মতো’ ভোট পড়েছে দাবি করে তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকে। সরকারের যে উইল ছিল অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের, সেদিক থেকে সরকারের তরফ থেকে আন্তরিকতা ছিল, সহযোগিতা ছিল। সেই সহযোগিতা পেয়েছি বলেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। তবে আমি বলছি না নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে।

রবিবার (৭ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনে সিইসি এসব কথা বলেন। ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিবসহ অন্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।সিইসি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশের মতো। কিছুটা ব্যত্যয় হতে পারে। এটা বাড়বে কি কমবে এখন বলতে পারছি না। আরও বাড়তে পারে। আবার নাও বাড়তে পারে। আমি ঠিক বুঝি না। মোটামুটি আমাদের যে শঙ্কা ছিল, ভোটার উপস্থিতি আরও কম হবে। নির্বাচন বর্জন করে পরোক্ষভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা হবে। আমরা দেখেছি স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন ভোটাররা। কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্র দখল করে সিল মারা হয়েছে। কিছু ব্যালটে সিল মারা দেখা গেছে। কিন্তু তার পেছনে কোনও সই নেই। এগুলো গণনা থেকে বাদ দেওয়া হবে। আমরা চেষ্টা করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল (ছবি:

এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টায় এক ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছিলেন, ৮টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মোট ভোট পড়েছে ২৭ শতাংশ। সিইসি বলেন, ২৯৯ আসনে নির্বাচন হয়েছে। আমরা ইসি থেকে সারাক্ষণ খোঁজ-খবর রেখেছিলাম। আমি কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরেছি। আমার সহকর্মীরাও ঘুরেছে। আমরা যেগুলো দেখেছি, পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ছিল। আমরা পরে টিভিতে দেখেছি। সহিংসতার ঘটনা গুরুতর কিছু ঘটেনি। কিছু আসনে হয়েছে। এজন্য কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করতে হয়েছে। একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে হয়েছে।তিনি বলেন, একটি বিষয় স্বস্তিদায়ক, নির্বাচনি সহিংসতায় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। কিছু আহত হতে পারে। তবে কিছু জায়গায় অনিয়ম হয়েছে। কিছু জায়গায় সিল মারা হয়েছে। কিছু ফলস নিউজও এসেছিল। ক্রস চেক করে নিশ্চিত হওয়ার পর রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে টিভিগুলোর মালিক প্রার্থী নন তার ওপর আমরা বেশি নির্ভর করেছি। তারা অধিকতর বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়েছে। তাদের ওপর আস্থা রেখেছি। স্বচ্ছতা দৃশ্যমান। আমি দেখেছি। ভোট ভালো হয়েছে। আমি নেগেটিভ খবর খুঁজছিলাম। খুব বেশি কেউ মারামারি কাটাকাটির কথা বলেনি। আমরা আহত-নিহত কামনা করি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *