শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মাদ্রাসার উন্নয়নে সরকার বড় বড় প্রকল্প নিচ্ছে, বিল্ডিং হচ্ছে’
ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স কক্ষে মতবিনিময় সভা/ঢাকা ট্রিবিউন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেন, নৈতিকতা ও সত্যিকারের দীনি শিক্ষা যেন আমরা মানুষের মধ্যে দিই। বাংলাদেশে অনেক সমস্য, অনেক বৈষম্য, অনেক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সত্যিকারের দীনি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।”
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স কক্ষে দেশের ফাযিল ও কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। মতবিনিময় শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এই সত্যিকারের দীনি শিক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি আমাদের যারা আলেম-ওলামা আছেন তাদের প্রতি সব সময় অনুরোধ করেন গবেষণা করতে। গবেষণা করে আমাদের দীনি ব্যবস্থায় ‘এজমা’, ‘কিয়াস’-এর মাধ্যমে বাহাস করে আমরা যাতে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সে লক্ষে কাজ করবে সরকার।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “এ লক্ষ্যে সরকার জামিয়া (আলিয়া) মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।”
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এখনো আমরা অনেক বেশি ‘অর্থডক্স’ এবং অপ্রচলিত বা ‘কনভেনশনাল’ জায়গায় আছি। পৃথিবীর অনেক দেশ আমাদের ধর্মতত্ত্ব, ইসলামি দীনি জ্ঞান অনেক বেশি এগিয়ে নিয়েছেন। সেটা মানুষের অধিকার হোক, যাকাত বা ট্যাক্স কীভাবে দেবে সে ব্যাপারে হোক। এই বিষয়গুলোতে আরও গবেষণা হওয়া দরকার। জ্ঞানী লোকরা নানান ধরনের গবেষণালব্ধ ফতোয়া দিয়েছেন। এই গবেষণার জন্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি। সে জায়গাতে যারা অধ্যক্ষ রয়েছেন তাদের আরও মনযোগী হতে হবে “
তিনি বলেন, “যারা সমাজে খতিব হবেন, যারা ইমামতি করবেন তারা সমাজের নেতা। তারা শুধু ধর্মীয় নেতা নন, সমাজেরও নেতা। তারা সেই সমাজে প্রভাব বিস্তার করেন। তাদের মাধ্যমে আমরা নানা বিষয় সাধারণ জনগণকে শেখাতে পারি। সেটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলি, দক্ষতানির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলি বা নিষ্ঠাবান হওয়ার কথা বলি।”
তিনি আরও বলেন, “একটা সময় ছিল মসিজিদভিত্তিক শিক্ষা দেওয়া হতো। কিন্তু আমরা সে পথে হাঁটতে পারিনি। বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, ইমাম সবাই সম্মিলিত উদ্যোগে একসঙ্গে যাতে কাজ করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “মাদ্রাসার উন্নয়নে সরকার বড় বড় প্রকল্প নিচ্ছে, বিল্ডিং (ভবন) হচ্ছে।”