বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা/
বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বায়ু। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে ঢাকার স্কোর ছিল ২৫৪। এ স্কোরকে “খুব অস্বাস্থ্যকর” বলে ধরা হয়। গত মঙ্গলবারও ঢাকার অবস্থান ছিল প্রথম, স্কোর ছিল ২৬৯।
আজ ঘানার আক্রা, ভারতের মুম্বাই ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ১৯১, ১৭৯ ও ১৭৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে। বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।
বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান “সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর”, ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে “অস্বাস্থ্যকর” বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে “খুব অস্বাস্থ্যকর” বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে “ঝুঁকিপূর্ণ” হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রেরসংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।