আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস আজ

দুর্নীতি প্রতিরোধের উপায় কী?

আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস

আজ ৯ ডিসেম্বর (শনিবার) আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য— ‘উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ’। বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) দিবসটি উদযাপন করবে। তবে দুর্নীতি দমনের চেয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধেই বেশি মনোযোগ দুদকের। যে কারণে গণশুনানি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উত্তম চর্চা বা সততা স্টোর এবং গঠিত দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি বছরব্যাপী কাজ করে থাকে দুদক। তবে দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হলে সেটা পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে দুদক দিবসটি উদযাপন করবে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আজ কে দুর্নীতিবাজ? যে ফাঁকি দেয়

সে দুর্নীতিবাজ। যে ঘুষ খায় সে দুর্নীতিবাজ। যে স্মাগলিং করে সে দুর্নীতিবাজ। যে ব্ল্যাকমার্কেটিং করে সে দুর্নীতিবাজ। যে হোর্ড করে সে দুর্নীতিবাজ। যারা কর্তব্য পালন করে না তারা দুর্নীতিবাজ। যারা বিবেকের বিরুদ্ধে কাজ করে তারাও দুর্নীতিবাজ। যারা বিদেশের কাছে দেশকে বিক্রি করে তারাও দুর্নীতিবাজ। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম শুরু করতে হবে…।’ সর্বশেষ গত ২০ মার্চ (২০২৩) রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা বার্ষিক প্রতিবেদনের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ উক্তিটি তুলে ধরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক

দুদকের আজকের (শনিবার) আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দুর্নীতিবিরোধী বাণী সম্বলিত ব্যানার স্থাপন করেছে দুদক। কমিশনের প্রধান কার্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল ৮টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, কমিশনের চেয়ারম্যান এবং কমিশনাররা জাতীয় পতাকা ও দুদক পতাকা উত্তোলন করবেন।

অন্যদিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) দিনটিতে আলোচনা অনুষ্ঠান, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার ঘোষণা এবং দুর্নীতিবিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব

মাহবুব হোসেন বলেন, শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্ননের ক্ষেত্রে দুর্নীতি বড় বাধা। সমাজের উন্নয়নের সব ক্ষেত্রকে দুর্বল করে দেয়। আইনের শাসনকে বিঘ্নিত করে ও দারিদ্রতাকে উসকে দেয়। সম্পদের অবৈধ ব্যবহার সহজতর করে এবং সশস্ত্র সংঘাতের জন্য অর্থায়ন করে শান্তি প্রক্রিয়া প্রক্রিয়াকে বিনষ্ট করে দেয় দুর্নীতি।

দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হবে ঘর থেকে। নিজেকে সংশোধন করতে হবে। সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে দুর্নীতির কুফলগুলো বলতে

পারিবারিক শিক্ষাটা এক্ষেত্রে খুব জরুরি। তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোটিভেশন দিতে হবে। পাঠ্যবইয়ে দুর্নীতি বিরোধী চ্যাপ্টার রাখতে হবে।

মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর আলী বলেন, শিক্ষা কারিকুলামে দুর্নীতি বিরোধী বা প্রতিরোধ বিষয়ে চ্যাপ্টার থাকা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *