গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৯৬০০ শিশুর প্রাণ গেল।
গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ৯ হাজার ৬০০ শিশু নিহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ২৩ হাজার ফিলিস্তিনি রয়েছেন। নিহতের ভেতর প্রায় অর্ধেকই শিশু। বিবিসির খবর।
এছাড়া গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৮৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ। হামলায় ৯ হাজার ৬০০ শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালায় হামাস। এরপর থেকেই জল, স্থল ও আকাশ পথে হামলা শুরু করে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এতে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন শত শত ফিলিস্তিনি। যার অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস জানিয়েছিলেন, গাজা উপত্যকায় গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে এক শিশু নিহত হচ্ছে। খবর আনাদোলুর।
এছাড়া শুক্রবার (১০ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত গাজায় ১১ হাজার ৭৮ জন মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫০৬ জন শিশু। নিহত নারীর সংখ্যা ৩ হাজার ২৭ জন। ৬৭৮ জন বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। এছাড়া এ পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ২৭ হাজার ৪৯০ জন।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি হামলায় ১ হাজার ৫০০ শিশুসহ ২৭০০ জন লোক ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১৯৮ জন চিকিৎসক মারা গেছেন এবং ৫৩টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়েছে।
এছাড়া ১৩৫টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করেছে ইসরায়েল এবং ২১টি হাসপাতাল ও ৪৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে তারা বন্ধ করে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই উত্তেজনা ছড়ায় লেবানন সীমান্তে। কারণ ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছে লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলও। এবার ইসরায়েলের হামলায় এক হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মিডিয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় হিজবুল্লাহর এলিট রাদওয়ান বাহিনীর একজন সিনিয়র কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এতে ফের ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।