কলকাতা: নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে, বাংলাদেশের পাচার হওয়া আগে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, সংসদ নির্বাচনের আগে এসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি অর্ডার দিয়েছিল বাংলাদেশের দুষ্কৃতকারী। পরীক্ষামূলক ভাবে এই পাচার সফল হলেই বাংলাদেশে ঢুকত আরও বিপুল অস্ত্র।
সেই পরিকল্পনা বানচাল করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
সোমবার(১১ ডিসেম্বর) সকালে এক গোপন খবরের ভিত্তিতে, রাজ্যটির উত্তর ২৪ পরগণা জেলার গোবরডাঙা এলাকা থেকে জামাল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।
তার বয়স ৪৩ বছর।
এসটিএফ এর তরফে জানানো হয়েছে, ওই জেলার গোবরডাঙ্গা পুলিশ থানার অধীনে গয়পুর হসপিটাল মোড়ে অভিযান চালানোর সময় জামালের স্কুটি থামায় এসটিএফ এর সদস্যরা।
শুরু হয় তল্লাশি। এ সময় তার পায়ের কাছে রাখা একটি নাইলনের ব্যাগ খুলতেই তার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে কাগজে মোড়ানো ৪টি সেমি-অটোমেটিক পিস্তল, ৮টি খালি ম্যাগাজিন ও ১০ রাউন্ড ৯ এমএম বুলেট।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জামাল জানিয়েছে, সে বনগাঁর বাসিন্দা। এসব অস্ত্র বনগাঁর একজনের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। সেই ব্যক্তির হাত ধরে অবৈধ পথে বাংলাদেশের দুর্বৃত্তদের হাতে পৌঁছে যেত।
আসন্ন ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতার পরিবেশ তৈরি করতে এই অস্ত্র পাচার করা হচ্ছিল বলেও জেরায় জানিয়েছে জামাল মণ্ডল। জানা যায়, পরীক্ষামূলক প্রচেষ্টা সফল হলেই আরো অস্ত্র সেই পথ দিয়েই বাংলাদেশে যেত।
ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তারকৃত জামালের বিরুদ্ধে গোবরডাঙ্গা থানায় ভারতীয় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জামালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের বাকি সদস্যদেরও ধরার
চেষ্টা করছে এসটিএফ এর কর্মকর্তারা।