বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় মিয়ানমারের ৪০০ চাকমা

মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে

মিয়ানমার সীমান্তে

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় আছেন মিয়ানমারের চাকমা সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০০ জন। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদেরও একটি দল সীমান্তে জড়ো হচ্ছেন। কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি বলেন, মিয়ানমারে দেশটির সরকারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। তাঁদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে। এই অবস্থায় তাঁরা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছেন। 

বসবাসকারীদের মধ্যে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে

তবে সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমার থেকে কোনো রোহিঙ্গা অথবা অন্য কোনো সম্প্রদায়ের লোকজন যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারেন, সে জন্য সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে আজ সোমবার সকাল ১০টার পর থেকে মিয়ানমারের বাহিনী আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে হেলিকপ্টার থেকে বোমা হামলা করছে। অন্যদিকে আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে এ পর্যন্ত ৯৮ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে আছেন।

এর আগে সোমবার বিকেল পৌনে তিনটার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *