সাত তারিখের পর ছাড় নেই : শামীম ওসমান

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কুমিল্লা মো. বেলাল হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশে ৪৭ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশে এই লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ হবে। তখন ৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করতে হবে। জলাশয় বাড়েনি, তবে উৎপাদন বাড়াতে হবে। এজন্য উৎপাদন যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে। কুমিল্লা মাছ উৎপাদনে দেশে দ্বিতীয়। সবার অংশ গ্রহণে কুমিল্লাকে প্রথম করা সম্ভব। এজন্য সবাইকে সততাতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। 

‘কুমিল্লা জেলার প্লাবনভূমি অঞ্চলে মৎস্য চাষ কেন্দ্রিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন’ শীর্ষক উপ প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় তিনি এই কথা বলেন। সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্টের (সিসিডিএ) সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্টের (এসইপি) আওতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বুধবার জেলা মৎস্য কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিসিডিএ’র সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ ওমর ফারুক,সহকারী পরিচালক অশোক কুমার দাস, পরিবেশ ও কৃষি উন্নয়ন সংগঠক অধ্যাপক মতিন সৈকত, সিসিডিএ’র এলাকা কর্মকর্তা লোকমান হোসেন প্রমুখ।

ডকুমেন্টেশন কর্মকর্তা মো. নূরুন্নবী রাসেলের সঞ্চালনায় কর্মশালায় প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সবাইকে অবগত করেন এসইপি প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুদ আলম। এতে ৮ জন মৎস্যচাষিকে মাছচাষে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন টেকসই উত্তম চর্চা অনুশীলন করায় বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। 
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের অক্টোবর মাস থেকে ৩ বছর মেয়াদি এসইপি প্রকল্পের আওতায় ‘কুমিল্লা জেলার প্লাবনভূমি অঞ্চলে টেকসই মৎস্যচাষ কেন্দ্রীক উদ্যোক্তা উন্নয়ন’ শীর্ষক উপ-প্রকল্পটি কুমিল্লা জেলার ৪টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করেছে সিসিডিএ। এতে পরিবেশ সম্মত মৎস্যচাষে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারে প্রদর্শনী প্রদান, ও আর্থিক সহযোগিতামূলক নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্প। এতে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও বিশ্ব ব্যাংক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *