ফরিদপুর: ভাঙ্গা উপজেলায় প্রেম সংক্রান্ত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার হামেরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
সংঘর্ষকারীদের লাঠিচার্জ করে সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা গেছে, সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাকিব, সোহাগ ও জুবায়ের নামে তিন যুবককে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বাকিরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এলাকার অবস্থা থমথমে, তাই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার মুনসুরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা শওকত শেখের ছেলে জুবায়েরের সাথে খাপুরা গ্রামের দেলোয়ার শেখের ছেলে রাকিবের প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তিনদিন আগে ঝগড়া হয়। জুবায়ের খাপুরা গ্রামের রাকিবের আত্মীয় স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। রাকিব বিষয়টি জানতে পেরে বাধা দেয় এবং জুবায়েরকে খাপুরা গ্রামে আসতে নিষেধ করে।
জুবায়ের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী। খাপুড়া গ্রামে একটি অনুষ্ঠানে তার ডেকোরেটরের মালামাল ভাড়া দেয়। রোববার বিকেলে সেখান থেকে ফেরার পথে রাকিবকে রাস্তায় পেয়ে জুবায়ের তার মোটরসাইকেল রাকিবের ওপর দিয়ে উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয়। ওই সময় জুবায়ের ও রাকিব দুজনই বিষয়টি বাড়িতে জানায়।
পরে দুই গ্রামবাসী দেশীয়
নিয়ে মুনসুরাবাদ বাজারে জড়ো হয়। এরপর তাদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র, ইট পাটকেল নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় ২০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিল জানান, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে আমি ৩ গাড়ি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি শান্ত করি। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরবর্তীতে সংঘর্ষকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।