ঢাকা উত্তরা থানা আ.লীগ সভাপতি প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা 

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট এ কে আজাদের ওপর দুষ্কৃতিকারীদের হামলার ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে হত্যা চেষ্টার মামলা করা হয়েছে।  

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ৩ নম্বর সেক্টর আলাউদ্দিন টাওয়ারের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় আজাদসহ যুবলীগ নেতা কবির মিয়া ও মারুফ উদ্দিন খান আহত হন।

পরদিন (মঙ্গলবার) রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মো. মারুফ উদ্দিন খান বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি ও অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

আসামিরা হলেন – ফাহিম রহমান (২৮), ফজলে রাব্বি ওরফে ব্লাক রাব্বি (২৬), মো. সিয়াম (২৩), আমিনুল ইসলাম মামুন (২৮),  রফিকুল ইসলাম রাজন (২৯), কামরুল ইসলাম সাকিল (৩০), মো. আরিয়ান মাসুদ (৩২), গোলাম রব্বানী (২৬), শফিকুল ইসলাম শফিক (২৭), মাসুম মিয়া (৩১) ও শওকত হোসেন (৩৫), এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জন।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী মো. মারুফ উদ্দিন খান জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ৩ নম্বর সেক্টর আলাউদ্দিন টাওয়ারের সামনে (রাজলক্ষ্মী এলাকায়) উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রার্থী এ কে আজাদের ওপর আসামিরা দলবদ্ধভাবে লোহার রড, ধারাল অস্ত্র, হকিস্টিক, হাতুড়ি, লাঠিসোঁটাসহ অতর্কিত আক্রমণ করে।আসামি ফাহিমের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় বাড়ি দিলে জখম হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন আজাদ। এরপরে আসামি ব্ল্যাক রাব্বি, সিয়াম ও মামুন তাদের হাতে থাকা লোহার রড, হকিস্টিক দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।

মারুফ উদ্দিন বলেন, আমি এগিয়ে গেলে ফাহিমের নির্দেশে রাজন, সাকিল ও মাসুদ তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে আমাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে। এতে আমার কপালে আঘাত লেগে গুরুতর জখম হই।  
ঠিক তখনই রাব্বানী, শফিক ও মাসুদ মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।  

ভুক্তভোগী আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে থাকা ৫১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগ সদস্য মো. কবির মিয়াকে আসামি মাসুদ মিয়া ও শওকতের হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় বাড়ি মারতে যায়। তখন কবির নিজেকে রক্ষা করার জন্য সরে গেলে তার ঘাড়ে বাড়ি লাগে। তিনি রক্তাক্ত জখম হন। এসময় আমাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

অভিযোগ করে মারুফ জানান, আসামিরা চলে যাওয়ার সময় ব্ল্যাক রাব্বি ও সিয়াম অ্যাডভোকেট আজাদের মানিব্যাগে থাকা ১০০০ ইউএস ডলার ও তার কাছে থাকা ২টি মোবাইলফোন নিয়ে যায়। মোবাইলফোন ২টির মূল্য প্রায় এক লাখ টাকা। এছাড়াও আসামি মাসুদ ও রাব্বানী  আমার প্যান্টের পকেটে থাকা ৮ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। অ্যাডভোকেট আজাদ বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

মামলার বিষয় বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসান। ওসি বলেন, ঘটনার দিন একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলাটি তদন্তাধীন আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *