নুরুল হক নুর বলেন, বাম-ডান, দল-মত নির্বিশেষে ১৯৭১ সালের মতো ঐক্যবদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি
নুরুল হক নুর/ফাইল ছবি/সংগৃহীত
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, “এই সরকার যদি তার ভুল বুঝতে পেরে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য জাতীয় ঐক্য-সংহতির পথে হাঁটে আমরাও তাদের সঙ্গে কাজ করবো। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগামীর রাষ্ট্র গঠন করবো। কিন্তু তার জন্য এই ডামি সংসদ ভেঙে দিতে হবে, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। তাহলে এই সরকারের সঙ্গে আমাদের ঐক্য হবে, জনগণ তাদের ক্ষমা করবে।”
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
দেশের ৯০% মানুষ নির্বাচন বর্জন করেছে উল্লেখ করে নুরুল হক নুর বলেন, “বাম-ডান, দল-মত নির্বিশেষে ১৯৭১ সালের মতো ঐক্যবদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশ ও দেশের মানুষকে মুক্ত করার জন্য ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। আমরা জানি না এই লড়াইয়ের পরিণতি কী হবে। কিন্তু অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।”
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আরও বলেন, “নিজেদের অমরত্ব লাভের জন্য দেশকে ধ্বংস করবেন না। একটি স্বাধীন দেশকে সিকিম বানাবেন না।”
আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী, ছাত্রলীগ- যুবলীগের তরুণদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রাখতে গিয়ে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধ্বংস করবেন না। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দেবেন না।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনি জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন। আমরা আপনার পাশে থাকবো। দেশের যা ক্ষতি করেছেন করেছেন, দয়া করে আর ক্ষতি করবেন না। দয়া করে এই সংসদে বা পরবর্তী সংসদের নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্য তৈরি করুন। বিল পাস করে নির্বাচন দিয়ে বিদায় নিন। নইলে আপনাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আপনাদের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।”
বর্তমান সরকারকে দুর্নীতি, গুম, খুনের রোল মডেল উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, “আজকে বাংলাদেশকে তারা (সরকার) দারিদ্রের যাঁতাকলে পিষ্ট করছে৷ তারা কিছু মেট্রোরেল, কালভার্ট, পদ্মা সেতু করেছে। আর সেগুলো দেখিয়ে বলছে, আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। এই সরকারের উন্নয়নে আওয়ামী লীগের গুন্ডা-পান্ডাদের উন্নয়ন হয়েছে। এদেশের সাধারণ জনগণের কোনও উন্নয়ন হয়নি।”
গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগরের সভাপতি নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন প্রমুখ।