রোববার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২১ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অর্থাৎ দেশের প্রতি পাঁচজন মানুষের মধ্যে একজনের খাদ্য গ্রহণে অনিশ্চয়তা রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় বেশি ভুগছেন রংপুর বিভাগের মানুষ। অন্যদিকে সব থেকে বেশি তীব্র খাদ্য নিরাপত্তায় রয়েছে সিলেটের মানুষ। দেশে প্রতি ৫ জনে একজন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নগরীর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মিলনায়তনে ‘ফুড সিকিউরিটি স্টাটিসটিকস প্রজেক্ট-২০২২ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রংপুরে প্রতি ১০০ জনে ২৯ দশমিক ৯৮ জন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। অন্যদিকে সিলেটে ১০০ জনে ১ দশমিক ৪২ জন তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
দেশে গড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার হার ২১ দশমিক ৯১ শতাংশ। এছাড়া বরিশালে ২২ দশমিক ৮৩, চট্টগ্রামে ১৯ দশমিক ৬৬, ঢাকায় ১৬ দশমিক ৪০, ময়মনসিংহে ২৬, রাজশাহীতে ২৫ দশমিক ১ ও সিলেটে ২৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
দেশে গড় তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার হার শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ। এছাড়া বরিশালে শূন্য দশমিক ৬৭, চট্টগ্রামে ১ দশমিক ১৬, ঢাকায় শূন্য দশমিক ৬৪, খুলনায় ১ দশমিক ৯, ময়মনসিংহে শূন্য দশমিক ৫৩, রাজশাহীতে শূন্য দশমিক ৫১ ও সিলেটে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন প্রতি ১০০ জনের মধ্যে একজন। সিলেট বিভাগের মানুষের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সবচেয়ে বেশি, আর সবচেয়ে কম খুলনা বিভাগে।
বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাড়লেও দেশের মানুষের ক্যালরি গ্রহণের হার বেড়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অপুষ্টিতে থাকা ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি
বিবিএসের জরিপ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২১ দশমিক ৯১ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ১ দশমিক ১৩ শতাংশ মানুষ। দেশের ৭৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ মানুষের খাদ্য নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৭৯ জনেরই খাদ্য গ্রহণ নিয়ে কোনো শঙ্কায় নেই।
এদিকে দেশের অধিকাংশ খাবার উৎপাদন হয় গ্রামে। অথচ গ্রামের মানুষের মধ্যেই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সবচেয়ে বেশি। জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রাম এলাকাগুলোতে ২৪ দশমিক ১২ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে, বিপরীতে শহর এলাকায় এ হার ২০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এমনকি চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকা অধিকাংশ মানুষও গ্রামেই থাকে। গ্রামে চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ মানুষ, শহরে এ হার শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ।
বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন-পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন, খাদ্য পরিকল্পনা এবং পর্যবেক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা।
Advertisement