খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামি দামি গাড়ি

প্রতিনিধি: রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, ট্রাকসহ দ্রুত বিভিন্ন গাড়ি। রোদ-বৃষ্টি-ঝড় আর ধুলায় কোটি কোটি টাকার এসব গাড়ির যন্ত্রাংশে মরিচা ধরেছে। দীর্ঘদিন ন ধরে অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকায় বেশির ভাগেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা হয় এসব যানবাহনের মধ্যে চোরাই ও কাগজপত্রবিহীন যানবাহনও আছে। জব্দ হওয়া এসব যানবাহনের মালিকরা আইনি জটিলতায় ছাড়িয়ে নিতে পারছেন না তাদের শখের গাড়ি। রক্ষণাবেক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় খোলা আকাশের নিচেই নষ্ট হচ্ছে যানগুলো। নিলামে তোলা না হওয়ায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। থানা ও আদালত প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেছে, খোলা আকাশের নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে জব্দ করা নানা ধরনের যানবাহন। দুই চাকার মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে ভটভটি, ট্রাক ও ইজিবাইকও আছে। সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় যানবাহনগুলো খোলা স্থানে পরিত্যক্ত

অবস্থায় স্তুপ করে রাখা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নে জব্দ করা এসব যানবাহন একই স্থানে পড়ে আছে বছরের পর বছর। ১০বছর আগে আটক করা গাড়িও আছে সেখানে। এর বেশির ভাগই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক গাড়ি আছে, যেগুলোর ভেতরে-বাইরে ধুলা-ময়লা জমে যন্ত্রাংশ খসে পড়ছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও আদালত কর্তৃপক্ষ জানায়, বিভি- ন্ন অপরাধে মামলার আলামত হিসেবে থানা ও আদালত প্রাঙ্গণে ৩শ’টি মোটরসাইকেল, ১৫টি প্রাইভেটকার, ১০টি পিকআপ, ১০টি অটো, ৮টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ৭টি ট্রাক ও ৫টি মাইক্রোবাস পড়ে আছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, আইনি জটিলতার কারণে যতদিন মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে না এবং কোর্ট থেকে এগুলো নিষ্পত্তির আদেশ না পাওয়া যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এসব আলামত ডিজপোজাল করতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, একইভাবে আমাদের থানারগুলোরও জায়গা কম। সমস্যা হচ্ছে সর্বসাধারণের সেবা দিতে। তারপরও চেষ্টা করছি)

বলে আইনের মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব এগুলোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার। রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এড. মো: আব্দুল মালেক জানান, যদি মাদক মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য সরকার উদ্যোগ নেয় তাহলে এ মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। এ মামলার গাড়িগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করলে এ সমস্যা সমাধান করা যাবে। তিনি বলেন, এসব মামলার দ্রুত সমাধান হলে অপরিচ্ছন্ন জায়গাগুলো পরিচ্ছন্ন হবে। অথবা গাড়িগুলো বাজেয়াপ্ত হয়ে গেলে সেটা বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *