প্রধানমন্ত্রীর আসনেও ৫ প্রার্থী, ৩০০ আসনেই বৈধ একাধিক

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে গোপালগঞ্জ-৩ আসন (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়। এই আসনে প্রধানমন্ত্রীসহ আরও আট প্রার্থী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে লড়তে চান। তবে যাচাই-বাছাই শেষে এই আসনে বর্তমানে মোট বৈধ প্রার্থী পাঁচজন এবং তিনজনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এছাড়া ৩০০ আসনের কোথাও একক বৈধ প্রার্থী দেখা যায়নি। ৩০০ আসনেই এদাধিক বৈধ প্রার্থী রয়েছেন।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ইসির দেওয়া বৈধ প্রার্থী সংখ্যা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আরও পড়ুন>> বাছাইয়ে টিকলো ১৯৮৫ জনের মনোনয়ন, বাতিল ৭৩১

ইসির তথ্যমতে, ৩০০ আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩ জন বৈধ প্রার্থী দেখা গেছে একাধিক আসনে। যেমন বগুড়া-৭ আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১৩ জন। এছাড়া ময়মনসিংহ-৩, ঢাকা-৫ আসনেও বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১৩ জন। সব থেকে কম বৈধ প্রার্থী দেখা গেছে শেরপুর-২ আসনে। এখানে মোট বৈধ প্রার্থী দুজন। এছাড়া রংপুর-২ আসনে তিন, জামালপুর-১ আসনে তিন, জামালপুর-২ আসনে তিনজন বৈধ প্রার্থী রয়েছেন। একাধিক আসনে তিনজন করে বৈধ প্রার্থী রয়েছেন।

অনেক প্রার্থী মনোনয়নপত্রের বৈধতা চেয়ে আপিল করেছেন নির্বাচন কমিশনে। ইসির আপিল শুনানি শেষে অনেক প্রার্থী ফিরে পাবেন প্রার্থিতা। ফলে এবার ভোটে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

যেসব দল নির্বাচনে এসেছে- জাতীয় পার্টি-জেপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমএল, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ

জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *