রোগীরা যেন দেশেই বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পায়: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে পিঠা উৎসবে উপাচার্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রোগীরা যাতে দেশে বসেই বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে বিএসএমএমইউ হেপাটোলোজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার আয়োজিত ‘নতুন বছরে আলোটুকু, ভালোটুকু দাও’ শীর্ষক পিঠা উৎসবে এসব কথা বলেন তিনি।উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে রেকর্ড করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন বলেই আমরা মানুষের সেবা করতে পারছি। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৈরি করে দিয়েছেন। তিনি চান রোগীদের যাতে বাইরে যেতে না হয়।

তিনি আরও বলেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে আমরা অবসরপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করেছি। এখানে এ পর্যন্ত ২০ কিডনি প্রতিস্থাপন করেছি। এখানে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে মাত্র ৩ লাখ টাকা খরচ হয়। দেশের বাইরে খরচ হয় ২০ লাখ টাকা। আমরা ইতোমধ্যে সফলভাবে লিভার প্রতিস্থাপন করতে পেরেছি। এখানে লিভার প্রতিস্থাপন করতে খরচ হয়েছে ২০ লাখ টাকা। ভারতে প্রতিস্থাপন করতে খরচ হয় এক কোটি টাকা। আমার সফলভাবে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট করতে পেরেছি।

বাংলাদেশে ট্রান্সপ্লান্ট বা অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন সংশোধন করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনি জটিলতার কারণে আমাদের লোকজন ভারতে গিয়ে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে ট্রান্সপ্লান্ট করে আসছে। অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন সহজ করা হলে দেশের মানুষের চিকিৎসার ব্যয়ভার কমার পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা সহজ হবে। আমাদের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য দক্ষ জনবল দরকার।
 
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হেপাটোলোজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহাতাব স্বপ্নীল। বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব লিভার ডিজিজেস বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সেলিমুর রহমান, বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের আহ্বায়ক সৌম্যব্রত দাস, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার ভারতীয় হাইকমিশন, ঢাকার মৃণ্ময় চক্রবর্তী, অ্যাভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির হোসেন বক্তব্য দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *