তাপমাত্রা নামল ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ফাইল ছবি/

টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেশের সর্ব-উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে পুরো জেলা। পঞ্চগড় ছাড়াও দেশের ১২ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয় ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ শীত মৌসুমের মধ্যে সর্বনিম্ন।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যেতে পারে। এছাড়া কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। এই কুয়াশাচ্ছন্ন থাকার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হতে পারে। এজন্য যাত্রী এবং ভ্রমণকারীদের জন্য সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র বলছে, শনিবার এবং রবিবার তাপমাত্রা তেমন একটা বাড়বে না। তবে এরপর থেকে বাড়তে পারে। আর রাজধানীর তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

শৈত্যপ্রবাহের বিষয়ে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, “পুরো রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এছাড়াও রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও নওগাঁ জেলাতেও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।”

এদিকে, উত্তরের জনপদে শীতের প্রকোপ বাড়লেও ঢাকার তাপমাত্রা খানিকটা বেড়েছে। শুক্রবার রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শুক্রবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের বাকি অংশে প্রধানত শুষ্ক পরিস্থিতি থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, নওগাঁ জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এর প্রভাব অন্যান্য এলাকায়ও বিস্তৃত হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ঠাণ্ডা আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। তবে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *