![](https://www.sonalisomoy.info/wp-content/uploads/2023/12/1-d5c0f86ca280ece3224c34bff458bdc5.jpg)
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি পাওয়া পাঁচ ইসলামী ব্যাংক
পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে সতর্কতামূলক চিঠি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, তাদের সতর্কতামূলক চিঠি দেওয়া হয়েছে। সতর্কতা বাণী, এটা সিদ্ধান্ত না।
তিনি উল্লেখ করেন, চলতি হিসাবের স্থিতি ঋণাত্মক থাকায় পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে ২০ দিনের মধ্যে অর্থ সমন্বয় করতে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সমন্বয় না করলে আইন অনুযায়ী আর্থিক লেনদেন সেবা বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। এর আগেও আইসিবি ইসলামী ব্যাংককে ৭০০ কোটি টাকার সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, পাঁচ ইসলামী ব্যাংক ২০ কর্মদিবসের মধ্যে ঘাটতি সমন্বয় না করলে অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ হবে কি না, তা পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ সিদ্ধান্ত নেবে।
বিভিন্ন ব্যাংকের চলতি হিসাবে ঋণাত্মক হলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাপোর্ট দেওয়া হয়, যা পরে সমন্বয় করে নেওয়া হয় এবং এটি চলমান প্রক্রিয়া বলেও জানান তিনি। চলতি হিসাবে ঘাটতি ব্যাংকগুলোর একটি কাঠামোগত সমস্যা– বলেও মন্তব্য করেন মেজবাউল হক।
চলতি ডিসেম্বরের প্রথম দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, চিঠি পাওয়ার ২০ কর্মদিবসের মধ্যে চলতি হিসাবের ঋণাত্মক স্থিতি সমন্বয়ের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পত্র প্রাপ্তির ২০ কর্মদিবসের মধ্যে আবশ্যিকভাবে আপনাদের চলতি হিসাবের ঋণাত্মক স্থিতি সমন্বয়ের জন্যআপনাদের পরামর্শ দেওয়া হলো। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমন্বয়ে ব্যর্থ হলে পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক এর সঙ্গে আপনাদের সম্পাদিত ‘ক্লিয়ারিং সেটেলমেন্ট এর জন্য নির্ধারিত হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ সংরক্ষণ’ চুক্তি মোতাবেক আপনাদের সব বা নির্দিষ্ট কোনও ক্লিয়ারিং প্লাটফর্ম থেকে বিরত রাখা হবে।
গত এক বছর ধরে তারল্য সংকটে ভুগছে ইসলামী ধারার এ পাঁচ ব্যাংক। এসব ব্যাংকে আমানত বাড়লেও চাহিদামতো নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমার (এসএলআর) টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখছে না। ফলে নিয়মিত দণ্ড সুদ বা জরিমানা গুনতে হচ্ছে। আবার এই জরিমানার টাকাও দিচ্ছে না কেউ কেউ।
২০ দিন পর সমন্বয় না করলে ব্যাংকগুলোর লেনদেন বন্ধ হবে কি না জানতে চাইলে মুখপাত্র মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানান, আমরা নিয়ম অনুযায়ী চিঠি দিয়েছি। সমন্বয় না করলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটাও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত