![](https://www.sonalisomoy.info/wp-content/uploads/2023/12/resize-350x300x1x0image-254886-1701697212bdjournal.jpg)
সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। ছবি: প্রতিবেদক
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শ্রমজীবী মানুষ ভাড়া করে জ্বালাও-পোড়াও এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে।
সোমবার ‘১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচিগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও বিজয় দিবস উপলক্ষে নগরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে জ্বালাও-পোড়াও এবং ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়গুলো একবারে উপেক্ষা করা যাবে না। এরইমধ্যে তদন্তে এসেছে, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং তারা শ্রমজীবী মানুষ ভাড়া করে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।
জ্বালাও-পোড়াও এবং অগ্নিসন্ত্রাস মোকাবিলায় গোয়েন্দা সংস্থা ও পোশাকধারী পুলিশ আরও বেশি সতর্ক অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
কমিশনার আরও বলেন, ইতিমধ্যে গত ১৮ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকাসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনায় স্ব-উদ্যোগে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দিবস দুটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিবেচনা করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের মতামত প্রদান
করেন।
ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।